রাজধানীর কেরানীগঞ্জে নির্মাণাধীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি)দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামছেন জবি শিক্ষার্থীরা। আগামী সোমবার থেকে এ আন্দোলন শুরু করবেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নে চলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২য় ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আবাসিক হলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মাসব্যাপী আন্দোলনের মুখে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত জানায় সরকার।অ্যাকাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, আবাসন ব্যবস্থা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, ক্যাফেটেরিয়া, খেলার মাঠ, চিকিৎসা কেন্দ্র, সুইমিংপুল, লেক নির্মাণসহ উন্নতমানের ক্যাম্পাস তৈরির মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে তেঘরিয়ার পশ্চিমদি মৌজায় ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণের অনুমোদন দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর জমির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় ভূমি মন্ত্রণালয়। এক হাজার ৯২০ কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে।প্রকল্পের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়িয়ে তা সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছিল তবে এখনো দৃশ্যমান তেমন কিছুই না হওয়ায় জবি শিক্ষার্থীরা তাদের ২য় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে ৩টি দাবিতে আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন যে, ২য় ক্যাম্পাসের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিগুলো নিম্নরূপ: ১.স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দূর্নীতিবাজ প্রজেন্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসাবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে।২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে সেনাবাহিনীর হাতে ২য় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল)৩.অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সকল অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের এই দাবিগুলো পূরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ফার্মেসি বিভাগের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু বকর খান বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ ৬ বছরেও আমরা সম্পন্ন করতে পারিনি অথচ এর চেয়ে কম সময়ের মধ্যেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করে হস্তান্তর করা হয়েছে। কাজ দ্রুতিকরণ ও দূনীর্তি দূরীকরণের লক্ষ্যে আমরা অতিদ্রুত সেনাবাহিনীর হাতে ক্যাম্পাসের কাজের হস্তান্তর চাই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।